ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:০৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

ফ্যাসিবাদী অপতৎপরতা বন্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল

repoter

প্রকাশিত: ০৪:১৭:০৮অপরাহ্ন , ২০ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৪:১৭:০৮অপরাহ্ন , ২০ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কফিন মিছিল করেছে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতা’ নামে একটি সংগঠন

ছবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কফিন মিছিল করেছে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতা’ নামে একটি সংগঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল এবং তাদের অপতৎপরতা বন্ধের দাবিতে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতা’ নামে একটি সংগঠন কফিন মিছিল করেছে। বুধবার দুপুর ১২টায় ছাত্র শিক্ষক মিলনাতয়নের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে শেখ হাসিনা এবং রাশেদ খান মেননের কফিনের প্রতিকৃতি সামনে রেখে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতা স্লোগান দেয়, “আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না”, “জাতীয় পার্টির ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না”। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া হয়।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতার প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা মিছিলে বলেন, “ফ্যাসিবাদের হামলায় যারা হারিয়ে গেছে তারা আর ফিরে আসবে না। তাহলে ফ্যাসিবাদী শক্তি কেন ফিরে আসবে? বড় রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিস্ট শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু এই বাংলাদেশে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না।”

বিন ইয়ামিন আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো অধিকার নেই। আহত ও শহীদদের ম্যান্ডেট হলো, এই দলগুলোকে নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে উপদেষ্টাদের কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য চাই। শহীদ ছাত্রজনতা চায় না, আওয়ামী লীগ বা তাদের দোসররা ফিরে আসুক। দেশের উন্নয়ন এবং আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে ফ্যাসিবাদীদের নিষিদ্ধ করতেই হবে।”

আন্দোলনের আরেকজন সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, “ফ্যাসিস্ট শক্তি তাড়ানোর ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। তবু তারা উঁকি দিচ্ছে, কার্যক্রম চালাচ্ছে, এমনকি উপদেষ্টা পরিষদেও যুক্ত হচ্ছে। ছাত্রজনতা তাদের কবর দিতে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।”

মিছিল শেষে বক্তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই জোরদার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তাদের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

repoter