
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
গত বছর অক্টোবরে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক দলকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তাদের এই অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্যদের।
আগামীকাল সকাল ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে একুশে পদক তুলে দেওয়া হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিজয়ীদের হাতে এই সম্মানজনক পুরস্কার তুলে দেবেন। নারী ফুটবলের জন্য এটি এক অনন্য প্রাপ্তি, যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
প্রথমদিকে একুশে পদক প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় প্রথমে ফাইনালে খেলা ১১ জন ফুটবলারের নাম ঘোষণা করে এবং তাদের আমন্ত্রণ জানায়। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এই তালিকা সংশোধনের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানায় এবং পুরো দলকে স্বীকৃতি দেওয়ার অনুরোধ করে। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় ২৩ জন ফুটবলার ও ৯ জন কোচ এবং কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানায়।
এছাড়া, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের জন্যও ৭টি আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। যদিও পুরো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তবে মঞ্চে উঠে দলের হয়ে একুশে পদক গ্রহণ করবেন কেবল অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এবং সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা। তাদের এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত স্বীকৃতিই নয়, বরং পুরো নারী ফুটবল দলের জন্য এক বিশাল সম্মানের বিষয়।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর থেকেই বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। দেশব্যাপী তাদের সাফল্য উদযাপন করা হয়, এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে একুশে পদক পাওয়া তাদের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর মধ্যে একটি। এই পদক শুধু খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণাই নয়, ভবিষ্যতে নারী ফুটবলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের এই স্বীকৃতি দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নারী ফুটবলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের মেয়েদের ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট করতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফুটবলারদের এই সম্মাননা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আরও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
repoter