
ছবি: দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এডিবি। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা: দেশের বেসরকারি খাতের অবকাঠামো উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। এই অর্থ মূলত বেসরকারি আর্থিক ইউনিটগুলোর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পে ব্যয় হবে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এডিবির ঢাকা অফিস থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নকে গতিশীল করতে এডিবি এই অর্থায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে।
দেশের অবকাঠামো খাত, যা ঐতিহ্যগতভাবে সরকারি খাত দ্বারা পরিচালিত, সেখানে সীমিত সম্পদ এবং বাস্তবায়ন সক্ষমতার অভাব উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তদুপরি, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ তহবিলের অভাব স্থানীয় বাজারে অবকাঠামো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় একটি বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই ঋণ বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হবে। এর লক্ষ্য হলো দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা।
বিআইএফএফএলের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে বেসরকারি খাতে নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করা সম্ভব হবে। এটি আন্তর্জাতিক স্পনসর এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসার সুযোগ তৈরি করবে।
এডিবির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং এই উদ্যোগের প্রসঙ্গে বলেন, এই প্রকল্পটি বেসরকারি খাতে অর্থায়নের পথকে প্রশস্ত করবে এবং সরকারি অর্থায়নের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, এই অর্থায়ন পিপিপি কাঠামোর মাধ্যমে টেকসই বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঋণ দেশের লিঙ্গ সমতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখবে। পিপিপি কাঠামোতে সংগঠিত বেসরকারি বিনিয়োগ এবং বিআইএফএফএলের আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে দেশের অবকাঠামো খাত একটি টেকসই ও উন্নয়নমুখী পথে অগ্রসর হবে।
অবকাঠামোগত উন্নয়নে নতুন দিগন্ত
এডিবির এই অর্থায়ন দেশের অবকাঠামোগত ঘাটতি পূরণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেসরকারি খাতের শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই উদ্যোগ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
repoter