ছবি: ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, দুই মাসের মধ্যে ভোটার তালিকার খসড়া চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল সানাউল্লাহ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দীন।
সংবাদ সম্মেলনে সানাউল্লাহ বলেন, আগামী বছর ২ মার্চের পর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহ করবে কমিশন। হালনাগাদ করা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নতুন ভোটাররা ২০২৬ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এর আগে ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে খসড়া এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য ২০২২ সালে সংগৃহীত হয়। বাকি ৪ লাখ নাগরিক নিজেদের উদ্যোগে নিবন্ধন করেছেন। তবে, এখনও প্রায় ২৭-২৮ লাখ যোগ্য নাগরিক নিবন্ধিত হননি। এই বাদ পড়া নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
সানাউল্লাহ বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের মাধ্যমে ২০২৬ সালে ভোটার হওয়ার উপযুক্ত নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে, যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের নাম তালিকা থেকে কর্তন করা হবে। ভোটার তালিকার সঠিকতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম বৈঠকে চারটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৈঠকে সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ এবং আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ অংশগ্রহণ করেন।
কমিশনের এই পদক্ষেপে ভোটার তালিকার নির্ভুলতা ও সামগ্রিক সিস্টেমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া, জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষায় এ ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা।
repoter