
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন রবিবার বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নিজের আয়-ব্যয় এবং সম্পদ বিবরণী প্রকাশ করেন। তিনি জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে তার সম্পদ বিবরণী দুদক সংস্কার কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন এবং অন্যান্য কমিশনাররা তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দেবেন।
দুদক চেয়ারম্যান তার সম্পত্তি বিবরণী তুলে ধরে বলেন, বসিলায় তার একটি ১৫০০ স্কয়ার ফিটের অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে এবং সেখানে আরও ৭০০ স্কয়ার ফিট বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে স্ত্রীর সঙ্গে ৫ কাঠা খালি জায়গা আছে, এছাড়াও বিসিএস প্রশাসন কমিটির সদস্য হিসেবে ১০ কাঠা জমির ১.২৫ কাঠা তার অংশে রয়েছে। তিনি আরও জানান, রাজউকের একটি প্লটের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন, তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো নিষ্পত্তি হয়নি।
অস্থাবর সম্পদ সম্পর্কে তিনি বলেন, তার কাছে ২৫টি সেলফ ভর্তি দেশি-বিদেশি দামি বই, ৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ৩০ লাখ টাকার ৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র এবং ২০ লাখ টাকার ৩ মাস অন্তর সঞ্চয়পত্র রয়েছে। তিনি তার জিপিএফের টাকা তুলেননি, সেখানে ১৭ লাখ টাকা জমা রয়েছে।
চাকরির আয়, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ বিক্রি ও শিক্ষকতা, বক্তৃতা এবং লেখালেখি থেকে আয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বর্তমানে তার কাছে নগদ ও ব্যাংক মিলিয়ে প্রায় ৪.৫ লাখ টাকা রয়েছে।
তিনি তার দীর্ঘ চাকরি জীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, গণপ্রত্যাশাকে লালন করতে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অদ্ভুত ঘটনার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং বায়তুল মোকাররমের ইমাম পালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রে দুর্নীতি রোধে জনসচেতনতা তৈরি করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী জানান, দুদক সীমিত জনবল নিয়ে কাজ করছে, তবে তারা নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধান করবেন। দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ বলেন, দুদকের পেশাগত ভিত্তি শক্ত এবং তারা কখনোই মানুষের দাসত্ব করবে না।
মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ১১ ডিসেম্বর কর্মস্থলে যোগদান করেন এবং তার প্রথম কর্মদিবসে ৭ দিনের মধ্যে সম্পদ বিবরণী প্রকাশের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
repoter