ঢাকা,  শুক্রবার
১৮ এপ্রিল ২০২৫ , ১০:২৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে কঠিন হবে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য * আলোচনায় অসন্তুষ্ট কারিগরি শিক্ষার্থীরা, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা * চীন থেকে অর্থ আনার অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে এনবিআরের দুই কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে * ঢাকার চারপাশে গড়ে উঠছে ব্লু নেটওয়ার্ক: পানি সম্পদ উপদেষ্টা * বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা * গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বাড়ালেও সরবরাহ সংকট ও চুরি কমেনি * দেশজুড়ে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা * ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশে * মাত্র ৮ দিনের মাথায় জামিনে মুক্ত ‘ডন মাসুদ’, এলাকায় ফের আতঙ্কের ছায়া * প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দল

ডিসেম্বরের ২১ দিনে রেমিট্যান্স ২০০ কোটি ডলার ছাড়াল

repoter

প্রকাশিত: ১২:৪৫:৪৪অপরাহ্ন , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১২:৪৫:৪৪অপরাহ্ন , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে বৈধপথে দেশে এসেছে ২০০ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে হিসাব করলে দৈনিক গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা প্রায় এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

গতকাল রোববার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে, যা হবে একটি রেকর্ড।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম ২১ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬১ কোটি ৩১ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩১ কোটি ১৬ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫১ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

চলতি অর্থবছরের গত পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। অর্থবছরের শুরুর মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, যা আগস্টে বেড়ে হয় ২২২ কোটি ৪১ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে এটি আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলারে। তবে নভেম্বরে এই অঙ্ক কমে দাঁড়ায় ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলারে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্সের অঙ্ক ছিল ৮৮০ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলারে। সব মিলিয়ে ১ জুলাই থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ১৭৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্সের এই প্রবাহ গত কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা উদ্যোগের ফল বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বিদেশি মুদ্রার সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রবাসী আয়ে উৎসাহিত করতে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ইতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট।

তবে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রভাব ফেলেছে। বিশেষত, চলতি বছরের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতা এবং ব্যাংকিং কার্যক্রমের স্থবিরতা রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। ওই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু প্রবাসী রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

জুলাইয়ের ১৯ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দেশে বৈধপথে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। ২৪ জুলাই ব্যাংক চালু হওয়ার পর রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়। এরপর আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এই প্রবাহে আবার গতি ফিরে আসে।

গত অর্থবছর ২০২৩-২৪-এ দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল আগের অর্থবছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি অর্থবছরেও রেমিট্যান্সের এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

repoter