
ছবি: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন। ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি মিশরের রাজধানী কায়রো গিয়েছিলেন। তাঁর উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ড. ইউনূস বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) কায়রোতে অনুষ্ঠিত ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। সম্মেলনে তিনি বিশেষভাবে "গাজা ও লেবাননে মানবিক সংকট এবং পুনর্গঠন চ্যালেঞ্জ" শীর্ষক একটি বিশেষ অধিবেশনে বক্তৃতা করেন। এই অধিবেশনে তিনি গাজার পরিস্থিতি এবং লেবাননে যুদ্ধপরবর্তী পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের আগে মিশরের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে যান প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি তাঁকে স্বাগত জানান। সফরকালে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) মহাসচিব হুসেইন আল শেখও সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকে প্যালেস্টাইনের চলমান পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে কায়রোর ঐতিহ্যবাহী আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেন ড. ইউনূস। তাঁর বক্তৃতায় তিনি শিক্ষার ভূমিকা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে জোর দেন। এর আগে, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ড. জাম্বরি আব্দুল কাদির সেন্ট রেজিস হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকে দুদেশের শিক্ষাখাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় কায়রো পৌঁছান। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তিনি কায়রোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ আটটি সদস্য দেশ অংশগ্রহণ করে। এই সম্মেলন উন্নয়নশীল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এবং মানবিক সংকট মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করে।
সফর শেষে দেশে ফিরে ড. ইউনূস বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁর অগ্রাধিকার এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন।
repoter