
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী ধর্ষণের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও ধর্ষকদের প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে রবিবার দিনব্যাপী বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন।
রবিবার সকাল থেকে রাজু ভাস্কর্য, অপরাজেয় বাংলা, বটতলা, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ও কার্জনহল এলাকায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিছিল ও সমাবেশ করেন। ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে ঢাবির ৩৬টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের নেতারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান।
এর আগে, শনিবার মধ্যরাতে সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভে যোগ দেন। রাত আড়াইটা পর্যন্ত রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
এ সময় ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ গঠন করা হয়, যারা ধর্ষণবিরোধী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন ও ধর্ষকদের প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়। এছাড়া, আসিয়ার ধর্ষকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে তোলার জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে তাদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে। ঢাবি ক্যাম্পাসে চলমান এই বিক্ষোভ দেশব্যাপী ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
repoter