
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
রোববার (২৬ জানুয়ারি) মধ্যরাতে এ সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
অধ্যাপক মামুন আহমেদ এক ভিডিও বার্তায় সংঘর্ষকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক’ উল্লেখ করে সবার প্রতি ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার অফিসে আলোচনার সময় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি বিশ্বাস করি, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য সব পক্ষকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।”
রোববার সন্ধ্যায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে উপ-উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় গেলে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার সময় উপ-উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করেছেন। এর প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
পরবর্তীতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন। সময়সীমার মধ্যে কোনো সাড়া না পেয়ে রাত ১১টার দিকে প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়ে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছালে বিভিন্ন হল থেকে বেরিয়ে আসা ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে পথচারী, সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা প্রকাশ করে সবার প্রতি উত্তেজনা পরিহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।
repoter