
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে বেকারত্বের হার নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) রবিবার (৫ জানুয়ারি) তাদের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশের মোট শ্রমশক্তির মধ্যে ২৬ লাখ ৬০ হাজার নারী ও পুরুষ বেকার ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্বিকভাবে বেকার হিসেবে তাদেরই গণ্য করা হয়েছে যারা জরিপের আগের সাত দিনের মধ্যে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি এবং কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। একই সঙ্গে তারা জরিপের পরবর্তী দুই সপ্তাহেও কোনো কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। এছাড়া বিগত ৩০ দিনে যারা কোনো ধরনের বেতন, মজুরি, বা মুনাফার বিনিময়ে কাজের সন্ধান করেছেন, তাদেরও বেকার হিসেবে ধরা হয়েছে।
এই নতুন হিসাব আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানবিদদের সম্মেলন (আইসিএলএস)-এর ১৯তম সংস্করণের মানদণ্ড অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এ পদ্ধতি অনুসারে, যারা উৎপাদনমূলক কোনো কাজ করেন না কিংবা বাজারে কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি করেন না, তারা কর্মে নিয়োজিত নন হিসেবে বিবেচিত হন। এ কারণে তাদের বেকার জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিবিএস জানিয়েছে, এই পদ্ধতি এবারই প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে।
বিবিএসের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক জরিপ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের শ্রমশক্তি দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৬ লাখে। এর মধ্যে পুরুষ শ্রমশক্তির সংখ্যা ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার এবং নারী শ্রমশক্তির সংখ্যা ২ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার।
দেশের মোট বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১৭ লাখ ৯০ হাজার পুরুষ এবং ৮ লাখ ৭০ হাজার নারী রয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য চাকরির বাজারে প্রবেশ করেন। তাদের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে চাকরি পান ১৩ থেকে ১৪ লাখ মানুষ, বাকিরা প্রবাসে কর্মসংস্থানের জন্য চলে যান।
বিবিএসের তথ্যমতে, বিগত দুই দশক ধরে দেশে বেকারত্বের হার ২৪ থেকে ২৮ লাখের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। নতুন জরিপ অনুযায়ী, বেকার জনগোষ্ঠীর বর্তমান পরিস্থিতি এবং শ্রমশক্তির পরিবর্তনশীল প্রবণতা সম্পর্কে আরও গভীর বিশ্লেষণ প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
repoter