
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম, ২ জানুয়ারি: বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত নভেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন আজ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে খারিজ করা হয়।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই জামিন আবেদনটির শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর না করার সিদ্ধান্ত নেয়। চিন্ময় দাসের আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তারা উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২৬ নভেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন না মঞ্জুর হওয়া পর ওইদিনই চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। ৩ ডিসেম্বর ওই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু ওইদিন চিন্ময়ের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না এবং রাষ্ট্রপক্ষও শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে জামিন শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
১১ ও ১২ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ চিন্ময়ের জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় আদালত ওই আবেদন নাকচ করে দেয় এবং পূর্ব নির্ধারিত তারিখে জামিন শুনানির দিন রাখে।
গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করেন। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই গ্রেপ্তারের পর ইসকন অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা আদালত এলাকায় মসজিদ, দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে খুন করে। ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়, যা ভুক্তভোগীর বাবা জামাল উদ্দিনের পক্ষ থেকে করা হয়। একই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আরও কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
repoter