
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কুরবান আলীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দুইজন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় আরও নয়জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চবি উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন: ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মেরিন সায়েন্সেস ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এলিসা স্বর্ণা চৌধুরী, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী রওজাতুল জান্নাত নিশা, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফৌজিয়া আহমেদ পল্লী মজুমদার, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বৃষ্টি, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন পুতুল, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোসা. সুমাইয়া (সুমাইয়া সিকদার), ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ আশফিয়া নাহার এশা এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ওশানোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী মাইসারা জাহান ইশা।
এ ছাড়া, ধর্ম অবমাননার দায়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম সানবিম সিফাতকে দুই বছরের জন্য এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একই বিভাগের শিক্ষার্থী জাফরীন সুলতানা জয়ীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের নৌকা প্রতীক ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানান। এই সময় হলের নারী শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে সহকারী প্রক্টর ড. কুরবান আলী লাঞ্ছিত হন। পরবর্তীতে নৃবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়।
repoter