
ছবি: সংগৃহীত ছবি
চাঁদাবাজির অভিযোগে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে, রাজধানী এবং এর আশপাশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৫ হাজার বাস থেকে দৈনিক এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। এছাড়া বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত যানবাহনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক। গত ২৯ জানুয়ারি এ নোটিশ পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা।
অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তিনি দাবি করেন, যারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তারা আগে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দুদক দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে পারে, এবং এ বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না। তবে তিনি দাবি করেন, সংগঠনের ভেতরে যেসব চাঁদাবাজ ছিল, তাদের এক বছর আগেই বের করে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন সময় সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে আসছে।
দুদকের এই অনুসন্ধান এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাস মালিক সমিতির কার্যক্রম এবং এর নেতৃবৃন্দের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
repoter