ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:৩৫ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

ব্যাংকে কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট কমেছে

repoter

প্রকাশিত: ১১:৩৬:০০অপরাহ্ন , ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১১:৩৬:০০অপরাহ্ন , ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

File photo

ছবি: File photo

রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপটে ব্যাংক খাতে কোটি টাকার বেশি ডিপোজিট থাকা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এবং আমানতের পরিমাণ কমে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোটি টাকার বেশি ডিপোজিট থাকা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমেছে এক হাজার ৬৫৭টি, এবং এ সময় এসব অ্যাকাউন্টে মোট ডিপোজিট কমেছে ২৬ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জুন প্রান্তিকে যেখানে কোটি টাকার বেশি ডিপোজিট ছিল এক লাখ ১৯ হাজার অ্যাকাউন্টে, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে তা কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৭ হাজারে। জুন প্রান্তিক শেষে এসব অ্যাকাউন্টে মোট আমানত ছিল সাত লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষে কমে হয়েছে সাত লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহমুদুর রহমান বলেন, আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর অনেক ব্যক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহক তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। ব্যাংকিং খাত নিয়ে আস্থাহীনতা, ইনফ্লেশনের চাপ, পারিবারিক এবং ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি—এগুলোই অ্যাকাউন্ট এবং ডিপোজিট কমার মূল কারণ।

ব্যাংকাররা মনে করছেন, সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগে ভালো রিটার্ন পাওয়ার কারণে অনেক বড় আমানতকারী এখন সেদিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে ব্যাংক খাতের ওপর চাপ বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, একক ব্যক্তিদের পাশাপাশি কর্পোরেট অ্যাকাউন্টেও কোটি টাকার ডিপোজিট কমেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে একক ব্যক্তি কোটিপতিদের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ৬২০টি কমেছে। একই সময়ে এসব অ্যাকাউন্টে ডিপোজিটের পরিমাণ কমেছে আট হাজার ৯২৩ কোটি টাকা।

সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে একক ব্যক্তিদের কোটিপতির অ্যাকাউন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৮৬১টিতে। জুন প্রান্তিকে এ সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ৪৮১টি। একক ব্যক্তিদের এই অ্যাকাউন্টে ডিপোজিটের পরিমাণ ৮৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে, যা জুন প্রান্তিকে ছিল ৯২ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা।

রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং গুজবের ফলে বিশেষত শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সরকার পতনের পর ব্যাংক বন্ধ হওয়ার গুজবে অনেক গ্রাহক তাদের আমানত তুলে নেন। প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ীর ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নেওয়াও এই সংকটকে ত্বরান্বিত করেছে।

ব্যাংকারদের মতে, ব্যাংকিং খাতে এই সংকট সামাল দিতে আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নীতি-সংস্কার এবং আর্থিক প্রণোদনা প্রয়োজন।

repoter