
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ডাটা অ্যান্ড সায়েন্সেস ‘দি নাও টক’ নামে একটি নতুন আলোচনা সিরিজ শুরু করেছে। এই সিরিজের প্রথম পর্ব ‘স্বনির্ভরতা অর্জন: উন্নয়নশীল বিশ্বে নিজস্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই বিশেষ আলোচনায় বিশ্বের স্বনামধন্য বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈজ্ঞানিক পরিবেশ গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন স্ট্রিং থিওরির অন্যতম বিশেষজ্ঞ, বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী এবং ব্রেকথ্রু ফান্ডামেন্টাল ফিজিক্স পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক অশোক সেন। তার সঙ্গে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিকসের গবেষক ও ব্ল্যাকহোলের কোয়ান্টাম গঠনের ওপর গবেষণা পরিচালনাকারী অধ্যাপক সুব্রত রাজু, দিল্লির যোশী অধিকারী ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও কৃষি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জয়া মেহতা এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ডাটা ও সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক মাহবুবুল আলম মজুমদার। আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সাদাফ সাজ।
বক্তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। তারা কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ অতিক্রমের কৌশল ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক অশোক সেন তার বক্তব্যে বলেন, সীমিত সম্পদের মাঝেও মেধা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সম্ভব। অধ্যাপক জয়া মেহতা অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সামাজিক কর্মকাণ্ডের সংযোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে এবং সমান সুযোগ নিশ্চিত করে।
অধ্যাপক সুব্রত রাজু বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মেধাপাচার রোধ করতে শক্তিশালী গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন। তিনি গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন যাতে প্রতিভাবানরা নিজ দেশেই কাজ করতে পারেন।
অধ্যাপক মাহবুবুল আলম মজুমদার মৌলিক বিজ্ঞান শিক্ষার ভিত্তি সুদৃঢ় করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি স্থানীয় সমস্যার সমাধানে নিজস্ব জ্ঞান ও গবেষণার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি উদাহরণ হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাকের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, কিভাবে এসব প্রতিষ্ঠান স্থানীয় উদ্ভাবনের মাধ্যমে বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাদের মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য তিনি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আহ্বান জানান, যাতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে না গিয়ে নিজ দেশে থেকে গবেষণার মাধ্যমে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারেন।
repoter