ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:১০ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পর ডেঙ্গুতে মৃত্যুহারে তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ

repoter

প্রকাশিত: ১২:১৬:৪০অপরাহ্ন , ১৩ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১২:১৬:৪০অপরাহ্ন , ১৩ নভেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

চলতি ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের (ইসিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, এই সংক্রমণের বেশিরভাগই ঘটেছে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। ডেঙ্গু আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল, যেখানে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৯৫ লাখের বেশি সংক্রমণ, এবং দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা। তবে, মৃত্যুর সংখ্যায় বিশ্বের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরে দেশে ৭৪,৮০০ ডেঙ্গু সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৭ জনের। ব্রাজিলে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫,৩০৩ জন এবং আর্জেন্টিনায় ৪০৮ জন, যার পরই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান।

ডব্লিউএইচও-এর অধীনস্থ প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের (পিএএইচও) তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলের মৃত্যুহার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, আর্জেন্টিনায় দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এবং প্যারাগুয়েতে দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এসব দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও দুর্বল মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে দেশে ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগ বেড়ে চলছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, “অনেক রোগী ডেঙ্গু পরীক্ষা করান না বা দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি হন, যার ফলে জটিল অবস্থায় চিকিৎসা পেতে হয়। শকে চলে যাওয়া রোগীদের বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।” তিনি আরও বলেন, কিডনি রোগী, ডায়াবেটিস রোগী, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও বয়স্কদের জন্য ডেঙ্গুর ঝুঁকি বেশি।

ডেঙ্গু পরিস্থিতির বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, “বর্তমানে যেসব এলাকায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি, সেগুলো চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। হটস্পট নির্ধারণ করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।”

আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও দ্রুত নগরায়ণ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়িয়ে তুলছে এবং বাংলাদেশে জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মশা অভিযোজিত হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ডেঙ্গুর জন্য নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক নেই, তবে উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসায় মৃত্যু কমানো সম্ভব। তবু জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, দুর্বল মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

repoter