ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:০৫ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

বড় জাহাজে বাড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্ষমতা

repoter

প্রকাশিত: ১২:৫৪:১৭অপরাহ্ন , ১০ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ১২:৫৪:১৭অপরাহ্ন , ১০ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজ আসায় শিপিং এজেন্টদের আরও উৎসাহিত করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে আমদানি ও রপ্তানিতে সময়, খরচ এবং ঝুঁকি কমছে। পাশাপাশি বন্দর চ্যানেল, জেটি, বার্থ, ইক্যুইপমেন্ট ও ইয়ার্ড ব্যবহারে বাড়তি সক্ষমতা দেখা যাচ্ছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও গতিশীল হচ্ছে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন দেশের পতাকাবাহী ৯৮টি কনটেইনার জাহাজ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। আগে ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ টিইইউস ধারণক্ষমতার জাহাজ বেশি ছিল। এখন ২,০০০ থেকে ২,২০০ টিইইউস ধারণক্ষমতার জাহাজ নিয়মিত আসছে। আড়াই হাজার টিইইউস ধারণক্ষমতার বড় জাহাজও এখন বন্দরে নিয়মিত ভিড়ছে।

২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কম জাহাজে বেশি কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে ৪,১০৩টি জাহাজ ভিড়েছে, ২০২৪ সালে তা কমে ৩,৮৬৭টিতে নেমে এসেছে। তবে বড় জাহাজের কারণে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়ে ৩.২৭ মিলিয়ন টিইইউস হয়েছে, যা ৭.৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১২৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন, যা ৩.১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, বড় জাহাজের সুবিধা অনেক। এতে কম পাইলট, টাগবোট ও বার্থ প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি পণ্যের ভাড়া ও ডেমারেজ খরচও কমে আসে। বড় জাহাজের কার্যকারিতা বিবেচনায় রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনও বড় জাহাজ কিনেছে। এসব জাহাজ বিভিন্ন মহাদেশে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত।

বন্দর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বড় জাহাজের অনুমতি বাড়ানো হয়েছে। ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ এখন নিয়মিত বন্দরে আসছে। আগে যেখানে চারটি ছোট জাহাজে পণ্য আনা হতো, এখন তা দুই-তিনটি বড় জাহাজে আনা সম্ভব হচ্ছে। এতে খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ডেমারেজ ও অপেক্ষার সময়ও কমেছে।

বন্দরে গিয়ারলেস ও গিয়ার ভ্যাসেলের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। গিয়ারলেস জাহাজকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আধুনিক গ্যান্ট্রি ক্রেন স্থাপন করা হয়েছে, যা দ্রুত কনটেইনার লোড-আনলোড করতে সহায়তা করছে।

রপ্তানির ক্ষেত্রে পোশাক খাতের মালিকরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। কনটেইনার ব্যালেন্স বজায় রেখে জাহাজে তুলতে বন্দর কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি মেইন লাইন অপারেটররা একে অপরের কনটেইনার পরিবহনে সহায়তা করছে।

বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়াতে লালদিয়া এলাকায় একটি হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণের প্রকল্প চলছে। এফসিএল কনটেইনার ইয়ার্ডে খুলে ডেলিভারির পরিবর্তে অফডকে নেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এতে ১ মিলিয়ন কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়বে এবং সরকারের আয় বাড়বে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, কাস্টম হাউস, শিপিং এজেন্ট ও বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে চট্টগ্রাম বন্দর আরও আধুনিক হচ্ছে। বড় জাহাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ভূমিকা রাখছে এই বন্দর।

repoter