ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
১২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ০৫:৪৪ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* এডিবির গবেষণা: জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি * বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪: বাংলাদেশে মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা * দুদকে যোগ দিলেন নতুন চেয়ারম্যান মোমেন * ব্যাংকে কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট কমেছে * আয়েবার এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে ইউরোপ প্রবাসীদের জন্য সাত দফা দাবি জানানো হয়েছে * খাগড়াছড়িতে অবৈধ ইটভাটা চালু করতে জালিয়াতি, হাইকোর্টের আদেশ পরিবর্তন * বাংলাদেশ দখলের হুমকি: পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা বললেন, "১৫ মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নেবে মুসলিমরা" * সরকারের ২২ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি তেল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত * ইউএনও’র ‘আওয়ামী লীগ ফিরবে’ মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক: প্রত্যাহারের নির্দেশ * জাবি শিক্ষার্থীদের বাস আটকের প্রতিবাদ: অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে রাজধানী পরিবহনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪: বাংলাদেশে মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা

repoter

প্রকাশিত: ১১:৪৫:৩৩অপরাহ্ন , ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১১:৪৫:৩৩অপরাহ্ন , ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক (GHI) অনুযায়ী, ক্ষুধার মাত্রা এখনও মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১৯.৪ স্কোর পেয়ে ১২৭টি দেশের মধ্যে ৮৪তম অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও বাংলাদেশ ক্ষুধা মোকাবেলায় কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছে, তবে দেশের পরিস্থিতি এখনও মাঝারি মাত্রার ক্ষুধার মধ্যে রয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের তুলনায় ভাল অবস্থানে থাকলেও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তুলনায় এগিয়ে থাকলেও নেপাল ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২৪’ প্রকাশ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ড. মিশেল ক্রেজা, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদুল হাসান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সবাই ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ফরিদা আখতার বলেন, “অনিরাপদ কৃষিচর্চা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাহত করছে।” তিনি দেশের প্রাকৃতিক খাদ্য বৈচিত্র্য যেমন মাছ ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি আরও বলেন, “নারীর লোকজ জ্ঞান খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।”

এছাড়া, তিনি অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে খাদ্য ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ওপর জোর দেন, বিশেষত দারিদ্র্যপীড়িত জনগণের জন্য।

ড. মিশেল ক্রেজা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা নিয়ে বলেন, “আমরা কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছি। কিন্তু দরিদ্র জনগণের জন্য নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাবারের অভাব এখনো একটি বড় সমস্যা।” তিনি আরও বলেন, “সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে দরিদ্র জনগণের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ প্রয়োজন।”

ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ ক্ষুধা কমাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে, তবে ২০২৪ সালের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের প্রতিবেদনে কিছু চ্যালেঞ্জ অবশিষ্ট রয়েছে।” তিনি বলেন, “ক্ষুধার চক্র ভাঙতে কমিউনিটিভিত্তিক সমাধান এবং জলবায়ু সহনশীলতার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা উল্লেখ করেন যে, দেশে ক্ষুধা ও অপুষ্টির সমস্যা সমাধানে কার্যকর নীতি ও পদক্ষেপের মাধ্যমে বৈষম্য ও অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিরসন করা সম্ভব হবে।

কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিষ কুমার আগরওয়াল বলেন, “এবারের বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক প্রতিবেদন শুধু ক্ষুধার প্রবণতা এবং দেশের স্কোর নিয়ে আলোচনা করেনি, বরং জলবায়ু সহনশীলতা এবং জেন্ডার বৈষম্য মোকাবেলার গুরুত্ব নিয়েও বিশ্লেষণ করেছে।” তিনি বলেন, “নারী এবং কন্যা শিশুরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই জেন্ডার নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।”

এদিনের আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই ক্ষুধা ও অপুষ্টির সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তারা জানান, সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সঠিক নীতির মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উন্নত করা সম্ভব।

repoter