ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:২২ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

বিরল মানবিক গুণের অধিকারী ডা. শরিফুল ইসলামের স্মরণসভা

repoter

প্রকাশিত: ১১:০১:১১অপরাহ্ন , ০৮ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১১:০১:১১অপরাহ্ন , ০৮ মার্চ ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিভেনটিভ অ্যান্ড স্যোসাল মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরিফুল ইসলামকে ‘বিরল মানবিক গুণের অধিকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চিকিৎসক ও শিক্ষকরা। শনিবার বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে তার স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ডা. শরিফুল ইসলাম গত ২২ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন। তাকে ময়মনসিংহ শহরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘ডা. শরিফুল ইসলাম চিন্তা, জ্ঞান ও বোঝার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিলেন। তার দুয়ার সবার জন্য খোলা ছিল। শিক্ষক হিসেবে তিনি বায়োস্ট্যাটিসটিক্সের মতো জটিল বিষয়ও সহজভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নে তার অবদান ধারাবাহিকভাবে রক্ষা করাই হবে তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো।’

বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, ‘ডা. শরিফুল ইসলাম যা বিশ্বাস করতেন, তা কর্মে প্রতিফলিত করেছেন। আমি তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তার কাছ থেকে উপকৃত হয়েছেন। তার সহযোগিতায় আমি দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা সম্পন্ন করতে পেরেছি।’

বক্তারা আরও বলেন, ডা. শরিফুল ইসলাম ছিলেন সাদামনের মানুষ। তিনি অমায়িক, নিরহংকার ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি চ্যারিটি ধরণের কাজ করতে পছন্দ করতেন। বিলুপ্তপ্রায় গাছ রোপণ ও ফলের গাছ লাগানো তার প্রিয় কাজ ছিল, যাতে মানুষ ও পাখিরা ফল খেতে পারে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান, বিশেষ করে গবেষণা ও থিসিসের উন্নয়নে তার অভাব পূরণ হওয়ার নয়। তিনি মানুষের সমালোচনার কথা চিন্তা করতেন না। প্রভাব বা প্রতাপের ধারণা তার জীবনে ছিল না।’

স্মরণসভায় ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রয়াতের বড় ভাই অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. শাহ আব্দুস সালাম, বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রিভেনটিভ অ্যান্ড স্যোসাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক।

ডা. শরিফুল ইসলামের মৃত্যু চিকিৎসা জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার মানবিক গুণ, জ্ঞান ও অবদান চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে বলে স্মরণসভায় উপস্থিত সবাই মত প্রকাশ করেন।

repoter