
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আসরে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন, যা টুর্নামেন্টের ভাবমূর্তিতে কালিমা লেপন করেছে। বিশেষ করে দুর্বার রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা বেতন না পাওয়ার প্রতিবাদে ম্যাচ পর্যন্ত বর্জন করেছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই সংকটের প্রেক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) একটি পেশাদার টি-টোয়েন্টি লিগ হিসেবে ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিসিবি বিপিএল-২০২৫ আসরকে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের সঙ্গে সংযুক্ত রেখে জাতীয় লক্ষ্য অর্জনের একটি মাধ্যম হিসেবে পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বেশ কিছু নতুন ও উদ্ভাবনী ধারণা দিয়েছেন, যা আগামী বিপিএলে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলমান বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ সংক্রান্ত একাধিক সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নজরে এসেছে। চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে পারিশ্রমিক পরিশোধ না হলে তা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), বিপিএল ও দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে উত্থাপিত ইস্যুগুলো যথাযথভাবে পর্যালোচনা ও তদন্তের লক্ষ্যে একটি ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
এনএসসির পরিচালক (ক্রীড়া) এই তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব এবং সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে কিছু দলের বিরুদ্ধে আগেও পারিশ্রমিক সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল, তবে এবারের ঘটনাগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের ম্যাচ বর্জনের মতো পদক্ষেপ পুরো টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এনএসসি আশা করছে, এই তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে, যা ভবিষ্যতে বিপিএলের স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করবে।
বিসিবি এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ইতোমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ক্রিকেটারদের পাওনা দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা অনেকাংশে নির্ভর করবে সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ওপর।
repoter