
ছবি: ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক এ কে এম আওলাদ হোসেন
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এ কে এম আওলাদ হোসেন। শনিবার বিকেলে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ কেন্দ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি আশপাশের এলাকা যেমন মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও গাজীপুর মেট্রো এলাকা নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের প্রায় ২৩ কিলোমিটার এলাকাকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে তিন হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। চার স্তরের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সর্বক্ষণ নজরদারি চালাবেন। এছাড়া পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
ডিআইজি আওলাদ হোসেন আরও জানান, ১৬ ডিসেম্বর ভোর ৪টা থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসা মানুষের চলাচলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি স্মৃতিসৌধ এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানান, আগামী কয়েকদিনে বহিরাগত বা নতুন কোনো ব্যক্তির আগমন ঘটলে সে সম্পর্কে থানা পুলিশকে অবহিত করতে হবে। যানজট এড়াতে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহনকে চন্দ্রা থেকে গাজীপুর হয়ে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মহরম আলীসহ ঢাকা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ। স্মৃতিসৌধ চত্বর ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি রঙ তুলির ছোঁয়ায় নতুন করে সাজানো হয়েছে। বাহারি ফুল দিয়ে স্মৃতিসৌধ এলাকা শোভিত করা হয়েছে। সৌধের সিঁড়ি ও অন্যান্য স্থাপনাগুলোও নতুন রঙে রাঙানো হয়েছে।
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে, যাতে লাখো মানুষ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন।
repoter