
ছবি: ছবি: বিজেসির ফেসবুক পেজ
দেশের ৩০টি টেলিভিশনের ওপর সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) পরিচালিত গবেষণা জরিপে দেশের টেলিভিশনগুলোতে কর্মরত সাংবাদিকদের অবস্থার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। জরিপ অনুযায়ী, দেশের ৩৫ শতাংশ টেলিভিশনে বেতন অনিয়মিত এবং কর্মচারীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। শুধু ২০২৩ সালে ১৫০ জনেরও বেশি সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে যে, ২০ শতাংশ টেলিভিশনে বেতন দুই থেকে পাঁচ মাস বকেয়া রাখা হয়। অধিকাংশ টেলিভিশনেই সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যবীমা, জীবনবীমা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি সুবিধা নেই। এছাড়া, ইনক্রিমেন্ট বা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, উৎসব ভাতা, সাপ্তাহিক ছুটি, সরকারি ছুটির দিন অতিরিক্ত সময় কাজের মজুরি বা ওভারটাইমও দেওয়া হয় না অধিকাংশ টেলিভিশনে।
এছাড়াও, চাকরিচ্যুতি সম্পর্কিত নোটিস এবং সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে অধিকাংশ টেলিভিশনেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে। প্রায় ৪৫ শতাংশ টেলিভিশনে চাকরিচ্যুতি নোটিস দেওয়া হয় না এবং ৪৮ শতাংশ টেলিভিশনে চাকরিচ্যুতির সুবিধা দেওয়া হয় না। এসব সমস্যা মোকাবিলা করতে এবং সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জরিপের ফলাফল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।
এ বিষয়ে, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিজেসি আয়োজিত পঞ্চম সম্প্রচার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন বিজেসির নির্বাহী সদস্য শাহনাজ শারমীন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান। তিনি সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের অধিকার এবং রুটিরুজির সুরক্ষা এক সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক খায়রুল আনোয়ার, এমআরডিআইর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) ও সম্প্রচার সম্মেলনের আহ্বায়ক ফাহিম আহমেদ।
repoter