ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০২:২৭ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

বিগত সরকারের অত্যাচারের কৌশল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত: ভলকার তুর্ক

repoter

প্রকাশিত: ০৯:০৬:০১অপরাহ্ন , ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৯:০৬:০১অপরাহ্ন , ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি – জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিগত সরকারের অত্যাচারের কৌশল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত ছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে প্রায় ১,৪০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং এই সময় হাজার হাজার মানুষ আহত হন, যাদের অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বিদ্ধ হন। নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু ছিল।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন নিহত হওয়ার যে হিসাব দিয়েছে, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী আহত বিক্ষোভকারীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে অস্বীকার করেছে বা বাধা দিয়েছে। চিকিৎসাকর্মীদের ভয় দেখানো হয়েছে, রোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জানান, ‘বিগত সরকারের অত্যাচারের কৌশল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত ছিল। শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আকস্মিক গ্রেপ্তার, আটক ও নির্যাতন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় সংঘটিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যে সাক্ষ্য এবং প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, তা ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং লক্ষ্যভিত্তিক হত্যার এক ভয়ংকর চিত্র তুলে ধরে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের শামিল হতে পারে।’

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সহিংস উপাদানগুলো বিক্ষোভকারী ও অন্যান্য বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে একটি তদন্ত দল পাঠায়। দলে ছিলেন মানবাধিকার তদন্তকারী, ফরেনসিক চিকিৎসক এবং অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। তারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করেন। অন্তর্বর্তী সরকার এই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করেছে, প্রয়োজনীয় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে এবং বিস্তৃত ডকুমেন্টেশন সরবরাহ করেছে।

repoter