ঢাকা,  শনিবার
৫ এপ্রিল ২০২৫ , ০৬:০০ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

বেতন না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভে ইরফানের হাতে সাতজন নিহত

repoter

প্রকাশিত: ০১:২৪:৩৫অপরাহ্ন , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০১:২৪:৩৫অপরাহ্ন , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বেতন না পাওয়া এবং মাস্টারের দুর্ব্যবহারের কারণে নিজের ক্ষোভে জাহাজের মাস্টারসহ সাতজনকে হত্যা করেছেন আকাশ মন্ডল ইরফান। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইরফান এ হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা স্বীকার করেছেন। গতকাল তাকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

র‍্যাবের দেওয়া তথ্য মতে, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া ইরফানসহ অন্য কর্মীদের ৮ মাস ধরে কোনো বেতন ভাতা দিচ্ছিলেন না এবং প্রায়ই দুর্ব্যবহার করতেন। মাস্টারের এই দুর্ব্যবহার এবং অর্থ না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে ইরফান তার সহকর্মীদের হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন ইরফান জাহাজ থেকে বাজার করার জন্য পাবনার একটি বাজারে যান। সেখান থেকে তিনি তিন পাতা ঘুমের ওষুধ সংগ্রহ করেন। এ সময় জাহাজে থাকা চাইনিজ কুড়াল, যা মূলত জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা ছিল, সেটিও ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেন।

র‍্যাব জানায়, ইরফান প্রথমে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাবার তৈরি করেন। সেই খাবার খাওয়ার পর জাহাজের অন্যান্য কর্মীরা অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর ইরফান হাতে গ্লাভস পরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে একে একে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর ইরফান নিশ্চিত হন যে সবাই মারা গেছে। এরপর তিনি নিজেই জাহাজ চালিয়ে হাইমচর এলাকায় চলে যান এবং সেখান থেকে অন্য একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যান।

র‍্যাব আরও জানায়, প্রথমে ইরফান শুধু মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের সময় অন্য কর্মীরা তা দেখে ফেলায় তাদেরও হত্যা করেন। নিহতদের মধ্যে মাস্টার গোলাম কিবরিয়া ছাড়াও গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী রয়েছেন। এছাড়া ঘটনায় আহত হয়েছেন সুকানি জুয়েল।

এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর ইরফান পালানোর চেষ্টা করলেও র‍্যাবের তৎপরতায় তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়।

repoter