
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংস্কার ও রূপান্তরের সময় জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি এই কৃতজ্ঞতা জানান।
গুতেরেস তার এক্স বার্তায় বলেন, "আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের জনগণকে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংস্কার ও রূপান্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতিসংঘ সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে।"
এর আগে, সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা বাংলাদেশের চলমান নীতি, উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেন। এই সাক্ষাতে জাতিসংঘের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়, যার মধ্যে ছিল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক স্থিতিশীলতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং শিক্ষা ও প্রযুক্তি উন্নয়ন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন এবং জানান যে, এসব উদ্যোগ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ এবং জাতিসংঘ সবসময় এ দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পক্ষে থাকবে। আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে বাংলাদেশের পাশে রয়েছি।"
অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, "বাংলাদেশের অগ্রগতির এই যাত্রায় জাতিসংঘের সহযোগিতা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি যে, যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা আরও সুসংহত করা সম্ভব হবে।"
বৈঠকে বাংলাদেশের বিভিন্ন চলমান প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়, যেখানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর, শিক্ষাখাতে অগ্রগতি ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বলেন, "বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল থেকে শিক্ষা নিতে পারে।"
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার এই সফর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের সম্পর্ক আরও গভীর ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
repoter