
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকার দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে এই চাল আমদানি করতে সরকার আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে এবং এতে ৬টি দরপত্র জমা পড়ে। সর্বনিম্ন দর প্রস্তাবকারী হিসেবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লি. এই চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন চালের দাম ৪৫৮.৮৪ মার্কিন ডলার এবং ৫০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ব্যয় হবে ২ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মাধ্যমে প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ৫৫ টাকা ৬ পয়সা পড়বে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, এর আগে গত বছরের ৪ ও ১৮ ডিসেম্বর ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ডিসেম্বরে অনুমোদিত চালের দাম ছিল প্রতি কেজি ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা এবং ৫৬ টাকা ১২ পয়সা।
চাল আমদানির এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করা এবং সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা। একইসঙ্গে সরকারের তরফ থেকে আগামী বছর ৬ লাখ টন চাল আমদানির জন্য আরও পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়াতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।
এই এলএনজি আমদানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেসার্স এক্সেলারেট এনার্জি এলপি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছে। ৩০-৩১ জানুয়ারি ২০২৫ সময়ের মধ্যে এলএনজি সরবরাহ করবে এই প্রতিষ্ঠান, যার জন্য ব্যয় হবে ৭৫২ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার ৪১৬ টাকা।
এলএনজি আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক কোটেশনে অংশ নিয়ে এই দর প্রস্তাবটি নির্বাচিত হয়েছে। পেট্রোবাংলা কর্তৃক এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, যেখানে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে এলএনজি সরবরাহ করবে এক্সেলারেট এনার্জি এলপি।
এলএনজি আমদানি করার জন্য এই ব্যয় আগের চেয়ে কিছুটা বেশি হচ্ছে। এর আগে, গত ২৬ ডিসেম্বর কোরিয়ার পসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, যার ব্যয় ছিল ৬৯২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ টাকা।
repoter