
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
চীন, ভারতসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ (বিএইচডব্লিউ)। দেশটির স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই সংগঠন বলেছে, বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের প্রভাব প্রতিরোধে এখনই সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএইচডব্লিউ এই সতর্কতার কথা জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে এইচএমপিভি ভাইরাসের ওপর নজরদারি জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সংগঠনটি রোগ নির্ণয়ের সক্ষমতা বাড়ানো, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা এবং ভাইরাস দেশে প্রবেশের আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এইচএমপিভি একটি শ্বাসতন্ত্রজনিত ভাইরাস যা বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। ভাইরাসটি সংক্রমণের ফলে হালকা ঠাণ্ডা থেকে শুরু করে মারাত্মক নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিসের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
বিএইচডব্লিউ জানায়, এই ভাইরাস সাধারণত সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়াও, আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শ, যেমন করমর্দন, অথবা ভাইরাসযুক্ত বস্তু বা পৃষ্ঠ যেমন দরজার হাতল, লিফটের বাটন, কিংবা ব্যবহৃত চায়ের কাপ স্পর্শ করার পর চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, এইচএমপিভি প্রতিরোধে সচেতনতার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, একই পদ্ধতি এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কার্যকর হতে পারে বলে মনে করছে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ।
সংগঠনটি জানিয়েছে, এই ভাইরাস মোকাবিলায় জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
repoter