
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তিন দফায় রিটার্ন জমার সময়সীমা বাড়িয়েছিল। সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারি এক আদেশে এনবিআর রিটার্ন জমার সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করে। যারা অনলাইনের পরিবর্তে সনাতনী পদ্ধতিতে কাগজে রিটার্ন জমা দিতে চান, তারা আজ নিজ নিজ কর কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত অনলাইনে ১৩ লাখ ৯৫ হাজারটি রিটার্ন দাখিল হয়েছে। বর্তমানে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেওয়া করদাতার সংখ্যা ১ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৩ জন।
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩০টি রিটার্ন দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে অনলাইনে দাখিল করা হয়েছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯টি রিটার্ন। রিটার্ন দাখিলকারীদের মধ্যে ব্যক্তি করদাতার সংখ্যা ২৪ লাখ ৭ হাজার ৫৩৬ জন এবং কোম্পানি করদাতা ১১ হাজার ১০৫ জন। এই সময়ে মোট আয়কর আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৬৫৪ কোটি ৬ লাখ টাকা।
অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে এনবিআর করদাতাদের জন্য ই-রিটার্ন সিস্টেম চালু করেছে। অনলাইনে রিটার্ন জমার ঠিকানা হলো etaxnbr.gov.bd। তবে অনলাইনে রিটার্ন জমার আগে করদাতাকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর। এই দুটি তথ্য ব্যবহার করে করদাতারা নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন বা ই-রিটার্ন জমার ক্ষেত্রে করদাতাকে কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে হবে না। বরং নির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করলেই তা গ্রহণযোগ্য হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সনাতনী পদ্ধতিতে চাকরিজীবীদের আয় বা বেতন-ভাতার প্রমাণ হিসেবে ব্যাংক হিসাবের এক বছরের লেনদেন বিবরণী (স্টেটমেন্ট) জমা দেওয়া লাগে। একইভাবে অনলাইনে রিটার্ন জমার ক্ষেত্রেও করদাতাকে আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য, ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতে হবে।
এনবিআর আশা করছে, করদাতারা সময়মতো রিটার্ন জমা দিয়ে দেশের রাজস্ব ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। তবে সময়সীমা পেরিয়ে গেলে করদাতাদের জন্য অতিরিক্ত জরিমানা এবং দণ্ডস্বরূপ সুদ গুনতে হতে পারে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিটার্ন দাখিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
repoter