ছবি: উপদেষ্টা পরিষদ সভার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন আসিফ নজরুল | ছবি: পিআইডি
২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হলে তা গৃহীত হয়। তবে সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশকারী বিধানটি খসড়া থেকে বাদ দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, অধ্যাদেশের খসড়ায় প্রস্তাব ছিল যে, কোনো সংগঠনকে অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য শাস্তির সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে ট্রাইব্যুনালের। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ মনে করে, এ ধরনের বিধান বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। তাই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত এই প্রস্তাবটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হলে, তা অন্য আইনের আওতায় করা সম্ভব। যেমন: সন্ত্রাস দমন আইন, নির্বাচনী আইন, এবং পলিটিক্যাল পার্টিস অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৮-এর মতো প্রচলিত আইনে ইতোমধ্যেই এ ধরনের বিধান রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ রাখতে এবং জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে খসড়া থেকে এ বিধানটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদ আরও মন্তব্য করেছে যে, রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন। প্রয়োজনে এটি ভবিষ্যতে বিবেচনায় আনা হবে।
repoter