ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা, ১৫ নভেম্বর: গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আহতদের একটি ইউনিক আইডি কার্ড প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে তারা আজীবন সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আহতদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান এ কথা জানান।
ডা. সায়েদুর রহমান জানান, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডেডিকেটেড বেড রাখা হবে। প্রয়োজনে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে। ইউনিক আইডি কার্ড তৈরির পর তাদের জন্য সকল সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি যেসব বেসরকারি হাসপাতালে সরকারের সঙ্গে চুক্তি থাকবে, সেখানেও পুরো বা আংশিক খরচ সরকার বহন করবে। অতীতে আহত ব্যক্তিদের যত খরচ হয়েছে তার সঠিক তথ্য দিলে তা ফেরত দেওয়া হবে। যারা চোখ হারিয়েছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সামর্থ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং পরিবারকে সহায়তা করা হবে। এছাড়াও, পঙ্গুত্ব বরণকারীদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে এবং পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শহিদ ও আহতরা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারভুক্ত, এবং রাষ্ট্রের সংকট সত্ত্বেও তাদের সহায়তায় সরকারের সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকেও এ জাতীয় কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
গত বুধবার দুপুরে পঙ্গু হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে আহত ব্যক্তিরা বিক্ষোভ করেন। রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা আহতদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন।
repoter