ছবি: প্রতীকী ছবি
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পূর্ণ করেছে গত ৮ নভেম্বর। এই সময়ে আইন ও বিচার বিভাগে পরিচালিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম তুলে ধরেছে প্রশাসন। সোমবার (১১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে প্রকাশিত হয় এসব তথ্য। আইন ও বিচার বিভাগে গত তিন মাসে মোট ১৩টি উল্লেখযোগ্য অর্জন তুলে ধরা হয়েছে, যা দেশের বিচার ব্যবস্থা ও আইনি কাঠামোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
১. বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন গঠন: বিচার বিভাগ সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠনে সহায়তা প্রদান এবং কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
২. আইন সংশোধন উদ্যোগ: আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ ও সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ সংশোধন বা বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং মতবিনিময় সভার মাধ্যমে অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে খসড়া প্রণয়ন কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
৩. বিচারপতি নিয়োগ: আপিল বিভাগে ৫ জন এবং হাইকোর্টে ২৩ জন বিচারপতি ও অধস্তন আদালতে ১০৯ জন বিচারক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
৪. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ: চেয়ারম্যানসহ তিনজন বিচারক ও চিফ প্রসিকিউটরসহ ১১ জন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৫. কার্যক্রম পুনর্গঠন: আইন ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন অনুবিভাগ ও শাখার কার্যক্রম পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৬. অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে নিয়োগ: অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে ২৩৯ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৭. আইন কর্মকর্তা নিয়োগ: বিস্ফোরক মামলার জন্য বিজিবিতে ২০ জন এবং ৩১ জেলার অধস্তন আদালতে ২৬৮৫ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৮. গণআন্দোলন দমনে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার: ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
৯. মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার: সন্ত্রাস দমন আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো চিহ্নিত করে প্রত্যাহারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
১০. সম্পদের হিসাব দাখিল: বিচারক এবং নিবন্ধন কর্মকর্তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
১১. গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ অনুসমর্থন: আন্তর্জাতিক সনদ অনুসমর্থনে আইন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে।
১২. গুম তদন্ত কমিশন গঠন: গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে একটি তদন্ত কমিশন গঠনে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
১৩. সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ: সময়াবদ্ধ সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই অর্জনগুলো আইন ও বিচার ব্যবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থিতিশীলতা ও জনসেবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
repoter