ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৪২ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

আগামী বছরের শুরুতেই হতে পারে ডাকসু নির্বাচন

repoter

প্রকাশিত: ১১:৩৪:৫০পূর্বাহ্ন, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১১:৩৪:৫০পূর্বাহ্ন, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছরের জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সম্ভাবনার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। রবিবার প্রক্টর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “ডাকসু নির্বাচন আমাদের জন্য খুবই জরুরি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামত জানার প্রক্রিয়া সহজ হবে। তবে গঠনতন্ত্র নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর আপত্তি এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”

ডাকসু নির্বাচনের দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পুরনো বিষয়। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনে ডাকসু নেতাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ছিল। তবে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তনের পর শাসক দলগুলোর প্রভাবের কারণে ডাকসু নির্বাচন তিন দশকের বেশি সময় বন্ধ ছিল।

২০১২ সালে ২৫ জন শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট করেন। এর জেরে ২০১৮ সালে আদালতের নির্দেশনায় ডাকসু নির্বাচনের আয়োজনের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হয় শেষ ডাকসু নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী নুরুল হক নুর ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে ডাকসু নির্বাচন আর অনুষ্ঠিত হয়নি।

সম্প্রতি ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্র নেতারা আবারও ডাকসু নির্বাচনের দাবি তোলেন। তবে এবার গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংস্কারের দাবি প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশা করছে, সংশোধন প্রক্রিয়া শেষ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে। দীর্ঘদিনের বিরতি শেষে ডাকসু নির্বাচন হলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও নেতৃত্ব গঠনের পথ সুগম করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

repoter