
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবমুখী এবং এর আকার বেশি বড় হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে মানুষের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিনিধি, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "আমরা আগামী বাজেটটি বাস্তবমুখী করতে চাই। বাজেটের আকার অহেতুক বাড়ানো হবে না। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-র আকারও খুব বেশি বড় হবে না। তবে মূল্যস্ফীতি কমানো, আয় বাড়ানো এবং বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে।"
তিনি আরও বলেন, "বাজেটের ইমপ্যাক্ট কী হবে, তা আগে থেকে বলে দেওয়া হতো। এবার আমরা সেসব বিষয়ে নজর রাখবো। বাজেট বক্তৃতা সাধারণত ২০০ থেকে ৩০০ পৃষ্ঠার হয়, কিন্তু এবার আমি বলেছি ৫০ থেকে ৬০ পৃষ্ঠার বেশি হওয়ার দরকার নেই। বাজেট সংক্ষিপ্ত হবে।"
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "মূল কথা হলো আমাদের প্রস্তুতি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রস্তুতি নেবো। বাংলাদেশ যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ভুটান ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ বলেছে, বাংলাদেশ করলে তারা সঙ্গে থাকবে। তাই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২০২৬ সালে সময় মতো না পারলেও আমরা প্রস্তুত থাকব।"
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ কিছুটা বাড়ানো হবে। আর কয়েক লাখ লোক আছে যারা আনডিজার্ভ, তাদের কমিউনিটিতে আনতে হবে। তবে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও আইটি খাতে বরাদ্দ কমবে না, বরং বাড়বে।"
এই বাজেটে শিশুদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
repoter