ঢাকা,  শুক্রবার
১১ এপ্রিল ২০২৫ , ০৪:২০ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* বিএনপি সরকারে এলে ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্য * জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: বিচার চূড়ান্ত পর্যায়ে, ইন্টারপোলকে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ * নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না: ভারত * দোতলা কাঠবডি লঞ্চ: ঢাকা-বরিশাল যোগাযোগের স্বর্ণযুগের গল্প * বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণ * ৫টি ওয়াইড দিয়ে আইপিএলের দীর্ঘতম ওভারের রেকর্ডে শার্দুল ঠাকুর * পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইরান * বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করলো স্টারলিংক ইন্টারনেট * যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি হ্রাস পাবে না, বরং বাড়বে: প্রেস সচিব * ভর্তি বাণিজ্যে অভিযোগ: সাবেক সচিব মোরশেদ ও আইডিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউগিনি

repoter

প্রকাশিত: ০৬:৪৬:৩৪অপরাহ্ন , ০৫ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ০৬:৪৬:৩৪অপরাহ্ন , ০৫ এপ্রিল ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিতে শনিবার (৫ এপ্রিল) ভোরে আঘাত হেনেছে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪ মিনিটে শুরু হওয়া এই ভূকম্পনের তীব্রতা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী, যা পুরো দেশজুড়ে আতঙ্কের সঞ্চার করে।

ইউরোপিয়ান-মেডিটেরেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ১, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে এটি ছিল ৬ দশমিক ৯ মাত্রার। উভয় সংস্থাই নিশ্চিত করেছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ওয়েস্ট নিউ ব্রিটেন প্রদেশের কিম্বে শহর থেকে ১৯৪ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে পোমিও এলাকায়, ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।

প্রথম মূল কম্পনের পর প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে আরও চারবার আফটার শক অনুভূত হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩।

ভূমিকম্পের তাৎক্ষণিক পর ইউএসজিএস সম্ভাব্য সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল, তবে পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তা প্রত্যাহার করা হয়।

এপর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূকম্পনের সময় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পোমিও জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি রিসোর্ট পরিচালনাকারী রাফায়েল সিসলেরিয়া জানান, ভোররাতে যখন কম্পন শুরু হয়, তখন বেশিরভাগ মানুষ ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। মুহূর্তেই সবাই ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।

পাপুয়া নিউগিনি এমনিতেই টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষস্থলে অবস্থিত, যাকে বলা হয় ‘রিং অব ফায়ার’। এই অঞ্চলটি স্বভাবতই সক্রিয় ভূকম্পন প্রবণ, এবং সেখানে মাঝেমধ্যেই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

দেশটির ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্পের ভয়াবহতা থেকেই আবারও বোঝা যায়, কিভাবে রিং অব ফায়ার অঞ্চল বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্প সংক্রান্ত দুর্যোগের অন্যতম হটস্পট হয়ে আছে।

সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশংসনীয় দ্রুততা এবং সচেতনতা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সাহায্য করেছে বলে মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক। তবে পুরো অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোর ক্ষতি নিয়ে এখনো অনুসন্ধান চলছে।

ভবিষ্যতে আরও কম্পন বা পরবর্তী সুনামি জাগরণের আশঙ্কা থাকলেও আপাতত দেশটি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরছে। সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

repoter