
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা, ২ জানুয়ারি: ২০২৫ সালে ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে রেস্তোরাঁ, পোশাক, হোটেল সেবা এবং মিষ্টি খাত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রেস্তোরাঁয় খাবারের বিলের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হবে, যা বর্তমানে ৫ শতাংশ ছিল। একইভাবে, পোশাক কেনার সময়ও ভ্যাটের হার ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির খরচে বাড়তি চাপ আসবে, যা সাধারণ জনগণের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, পোশাক ও মিষ্টির দোকানগুলিতে বর্তমানে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে, যা ১৫ শতাংশে উন্নীত হবে। এর পাশাপাশি, নন-এসি হোটেল সেবার উপরও ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যা বর্তমানে ৭.৫ শতাংশ।
এ ছাড়া, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে সরকার বিভিন্ন খাতে ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে পোশাক, রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং মিষ্টির পাশাপাশি অন্যান্য খাত যেমন বিস্কুট, আচার, ম্যাট্রেস, সিআর কয়েল, ট্রান্সফরমার এবং টিস্যু পেপারেও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হবে।
বিভিন্ন খাতে কর বাড়ানোর পাশাপাশি, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেন ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা হলে, সেগুলোর ওপর টার্নওভার কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এই সীমা ৫০ লাখ থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
এনবিআর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুসারে, বাংলাদেশকে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট হার আরোপের জন্য বলা হয়েছে। আইএমএফের সঙ্গে চলমান ঋণ চুক্তি পূরণ করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই নতুন ভ্যাট পদ্ধতির বাস্তবায়ন আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির আদেশে অধ্যাদেশ হিসেবে কার্যকর হতে পারে।
repoter