
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্দেশনা দিয়েছে যে, সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে কেন্দ্রীয় লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ও ওয়েটিং লিস্টে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। ঢাকার মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব এবং মাউশির উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেছেন, কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারেও ভর্তি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।
বুধবার থেকে দেশের সব সরকারি স্কুল এবং মহানগর ও জেলা সদরের বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ৩ লাখ ৬ হাজার ৮৮ শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে মেধাতালিকা, প্রথম অপেক্ষমাণ ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করেছে মাউশি।
এবার ৬৮০টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে ৯৮ হাজার ২০৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। একইভাবে মহানগর ও জেলা সদরের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৭ হাজার ৮৮৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। সরকারি স্কুলে ভর্তির প্রথম ওয়েটিং লিস্টে ৭৯ হাজার ৫০২ জন এবং বেসরকারি স্কুলে ১ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন রয়েছেন। দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্টে সরকারি স্কুলে ৫৮ হাজার ৫৫৮ জন এবং বেসরকারি স্কুলে ৬৭ হাজার ৫১৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
মাউশি থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম ছয় কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচিত তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর যদি আসন শূন্য থাকে, তবে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। একইভাবে, প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার কথা বলা হয়েছে। তবে, সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
ভর্তির ফি এবং অন্যান্য খরচের বিষয়ে জানানো হয়েছে যে, দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার ভর্তি ফি হতে পারবে। উপজেলা এবং পৌর এলাকায় ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা, আর মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ৮ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে, তবে ইংরেজি ভার্সনের জন্য ফি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, রাজধানী শহরের প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ফি সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা হতে পারবে।
এছাড়া, এক শিক্ষার্থী যখন বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তখন প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে, তবে পুনঃভর্তি ফি আদায় করা যাবে না।
repoter