ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৫৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস কারাগারে

repoter

প্রকাশিত: ১০:৩৫:০৯অপরাহ্ন , ০৫ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ১০:৩৫:০৯অপরাহ্ন , ০৫ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৫ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং আগ্নেয়াস্ত্র লুণ্ঠনের মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কামারপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে সেনা নিয়ন্ত্রিত যৌথবাহিনীর একটি দল তাকে আটক করে।

জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট সরকার পতনের আগের দিন এনায়েতপুর থানায় এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস পর সাবেক মন্ত্রীকে এ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলাটিতে এনায়েতপুর থানার চারজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও প্রায় সাড়ে ছয় হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে, এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে এনায়েতপুর থানার আজুগরা গ্রামের বদিউজ্জামান ফকির এবং তার ভাই মান্নান ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন জানান, সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের পর সেনাক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আদালতে তাকে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেক মন্ত্রী-এমপি ও নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেলেও প্রবীণ নেতা লতিফ বিশ্বাস নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ কারণে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হলেন বলে মনে করছেন অনেকে।

লতিফ বিশ্বাস সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। এরপরও তিনি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

তার স্ত্রী বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস বলেন, তার স্বামী একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তার নামে উল্লেখযোগ্য কোনো মামলা নেই। সরকারের ঘোষিত সময়ের মধ্যেই তার লাইসেন্সকৃত দুইটি অস্ত্র এবং গোলাবারুদ থানায় জমা দেওয়া হয়েছিল। এরপরও তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া হোসেন জানান, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এনায়েতপুর থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ হত্যা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

repoter